ভাড়া বেড়েছে দ্বিগুণ,খসে পড়ছে গাড়ির নাট-স্ক্রু

মো. মহসিন হাবিব,তিতাস;
কুমিল্লার তিতাস উপজেলা সদর কড়িকান্দি-মজিদপুর সড়কের বেহাল দশা বিরাজ করছে। এতে জনদুর্ভোগ চরমে গিয়ে পৌঁছেছে। উক্ত সড়কটি বিগত কয়েক বছর ধরে সংস্কার না করায় সড়কের পিচ ঢালাই উঠে বড় বড় গর্তে সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা দুষ্কর হয়ে পড়ে। প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এসব গর্তের কারণে সিএনজি চালিত অটোরিকশার ভাড়াও দ্বিগুণ গুণতে হচ্ছে সড়কে চলাচল করা যাত্রীদের। এছাড়াও গর্তের কারণে অটোরিকশার নাট-স্ক্রু খসে পড়ছে সড়কে। এ কারণে চালকদের বেড়েছে অতিরিক্ত খরচ। দুই একদিন পর পরই গ্যারেজে নিতে হচ্ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই সড়কের পাশে রয়েছে মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মজিদপুর পূর্ব ও মজিদপুর পশ্চিম দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা, সরকারি হাসপাতাল, কৃষি অফিস, পোস্ট অফিস ও একটি গ্রামীণ বাজার। এছাড়াও এই সড়ক দিয়ে যাতায়ত করে মজিদপুর, কাকিয়াখালি, মোহনপুর, বালুয়াকান্দি ও শাহপুর গ্রামের একাংশসহ পাঁচ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ।
সড়কে যাতায়তকারীরা জানায়, সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় স্কুলে পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী এবং জরুরি রোগী নিয়ে উপজেলা সদরে যাওয়া আসা করতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
উক্ত পাঁচ গ্রামের জনগণের দাবি দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে জনগণের দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করা হোক।
মজিদপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম বলেন, মজিদপুর গ্রামের রয়েছে একটি উচ্চ বিদ্যালয়, দুটি প্রাইমারি স্কুল, একটি মাদ্রাসা, একটি বেসরকারি আয়শা ব্রাইট ফিউচার স্কুল এন্ড কলেজ, একটি সরকারি হাসপাতাল, কৃষি অফিস, পোস্ট অফিস ও একটি গ্রামীণ বাজার রয়েছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শিক্ষিকা, কর্মকর্তা ও কর্মচারী যাতায়াতে খুব অসুবিধা হয়। দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে চাকরীজীবীরা তাদের ছেলে মেয়ে নিয়ে গ্রামে আসতে চায়না সড়কের এমন অবস্থার কারণে।এলাকাবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে উক্ত সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন আব্দুল হালিম।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ মুহীব উল্লাহ বলেন, কড়িকান্দি-মজিদপুর সড়কের ৩৩৩২ মিটার কাজ সংস্কার করার জন্য ১ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৯ টাকার ইস্টিমেট দেওয়া হয়েছে। অ্যাপ্রুভও হয়েছে।
টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেছেন মেসার্স ইবালুয়েশন ঠিকাদার কোম্পানি, আশা করি চলতি অর্থ বছরে সড়কটির সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হবে।