অভিযোগের পাহাড় বুড়িচং সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সমাজসেবা কার্যালয়ের অধিনে বিতরণকৃত বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতা ভূক্তভোগিদের মোবাইলে না এসে অন্য নাম্বারে চালে যাচ্ছে। ফলে তালিকায় নাম থেকেও সরকারী ওই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভূক্তভোগীরা। আর এমন অভিযোগের পাহাড় বুড়িচং উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ আবদুল আওয়ালের বিরেুদ্ধে।

ভুক্তভোগী কয়েকজন উপস্থিত থেকে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আবদুল আওয়াল এর বিরুদ্ধে সরাসরি এসব অভিযোগ আনেন।

ভূক্তভোগী মোঃ সাজন মিয়া বলেন, আমি ভাতার বই করার পর থেকে সবসময়ই ভাতা পেয়ে আসছি। এইবার ডিজিটাল করার নাম করে আমাকে বয়স্ক ভাতা থেকে বঞ্চিত করেছে। আমার ফোন নাম্বার চেয়েছিল নগদে আইডি খোলার জন্য। আমার সঠিক নাম্বার দিয়েছি। কিন্তু আমার মোবাইলে টাকা না এসে চলে গেছে অন্য মোবাইলে। আমি এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে আসলে আমাকে অনেক গালমন্দ ও হুমকি ধামকি দিয়েছে। আমি তিন দিন যাবৎ আসা যাওয়া করছি। কোনো ভাবেই এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে নারাজ সমাজসেবা কর্মকর্তা।

আরেক ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী নাজমা আক্তার বলেন, আমি অনেক অভাবে আছি। আমার ভাতাও দিচ্ছে না। ভাতার বিষয়ে জানতে চাইলে আমার কোনো কথাই শোনে না সমাজসেবা কর্মকর্তা। আমাকে বলে আমার কি কাগজ খুঁজে পাচ্ছে না। আমি এখন কি করবো?

উপস্থিত আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল আওয়ালের বিরুদ্ধে পূর্বে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ এসেছে। প্রশাসন থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হতাশ ভূক্তভোগীরা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে গেলে বুড়িচং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল আওয়াল প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এক পর্যায়ের বলেন নগদের কর্মকর্তারা ভালো জানে। আমি এ বিষয়ে অবগত ন‌ই।
তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের নিউজ না করার অনুরোধ করেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল আওয়াল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোবাইল ব্যাংকিং নগদ এ কর্মরত এক কর্মকর্তা জানায়, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের দেয়া তালিকা অনুযায়ী টাকা দেয়া হচ্ছে। কর্মকর্তার নির্দেশ ছাড়া একটি কলমও আমাদের বসানোর ক্ষমতা নেই।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জেড এম মিজানুর রহমান খান বলেন, নতুন করে মোবাইলের মাধ্যমে ভাতা প্রদানের কারনে হয়তো সমস্যা হতে পারে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগগুলো পাঠালে আমি তদন্ত করে সংশোধনের ব্যবস্থা করবো।