মারুফ আহমেদ।।
কুমিল্লায় ফেনসিডিল সেবনের ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করাকে কেন্দ্র করে খুন হয় আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক। এ হত্যা কান্ডে জরীত চার আসামীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য তুলে ধরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আবদুল মান্নান জানান, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ও মসজিদ কমিটি নিয়ে আসামিদের সঙ্গে আগে থেকেই বিরোধ ছিল আওয়ামী লীগ নেতা এনামুলের। এনামুল হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি জহিরের ফেনসিডিল সেবনের একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিও ক্লিপটি এনামুলও ফেসবুকে শেয়ার করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এনামুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন জহির, আমানসহ আরও কয়েকজন।
ফেনসিডিল সেবনের একটি ভিডিও নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করায় কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক হত্যার শিকার হন, আসামীদের দেয়া তথ্যমতে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।
গত ১৯ মে জুমার নামাজের পর জেলার আদর্শ সদর উপজেলার ২নং উত্তর দূর্গাপুর ইউনিয়নের, আলেখারচর এলাকায় সন্তাানের সামনে গলা কেটে হত্যা করা হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হককে।
এঘটনায় পরদিন শনিবার নিহত এনামুল হকের বাবা আব্দুল অদুদ বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় ১০জনের নামুল্লেখ ও অজ্ঞাত ৬/৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে খাগড়াছড়ির পানছড়ি ও কুমিল্লা শহর থেকে আটক করা হয় হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি কাজী আমান উল্লাহ, তিন নম্বর আসামি আবু সাইদ, সাত নম্বর আসামি কাজী নিজাম উদ্দিন ও ১০ নম্বর আসামি জাকির হোসেনকে।
হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার ছুরিটি জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ।