করোনার মাঝে জুয়া, ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ (ভিডিও)

নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে করোনা ভাইরাস আতংক ও রমজানের মাঝে জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। সেই আসর থেকে শনিবার গভীর রাতে ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। পরে এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজনকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার গভীর রাতে নাঙ্গলকোট থানার এসআই ওবায়েদুল হক, এএসআই আব্দুল আমিনসহ ফোর্স উপজেলার মক্রবপুর ইউপির মক্রবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে ভাতড়া গ্রামের সেলিম মিয়ার ভাড়া বাসায় থেকে তাদেরকে আটক করে। প্রতি রাতে এ খানে জুয়া, মদসহ অসামাজিক কাজ হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
পাশের রুমের ভাড়াটিয়া বান্নাঘর গ্রামের নুর উদ্দিন, লাকসাম আজগরা গ্রামের শাফায়েত হোসেন বলেন, শনিবার রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে পুলিশ এসে দরজায় লাথি মারতে থাকে। তখন আমরা বের হয়ে দেখি পুলিশ স্থানীয় চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা চৌধুরী মকুল, আ: লীগ নেতা মোবারক খানসহ ছয়জনকে জুয়া খেলার সময় গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

মক্রবপুর গ্রামের দুলাল মিয়া বলেন- সকালে বাজারে এসে অনেকের কাছে শুনেছি গত রাতে চেয়ারম্যান ও আ: লীগ নেতাসহ ছয়জনকে পুলিশ জুয়ার আসর থেকে আটক করেছে। মানুষ যখন করোনার ভয়ে আতঙ্কিত তখনও তার এসব অপকর্ম করে যাচ্ছে।
সূত্র আরও জানায়, পুলিশ সিএনজি অটো রিকশা ও মোটরসাইকেল নিয়ে দেওয়াল টপকে জুয়ার আসর থেকে হাতকড়া পরিয়ে ছয়জনের মধ্যে চারজনকে আটক করে। তারা হচ্ছে মক্রবপুর ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা চৌধুরী মকুল, ইউপি আ:লীগের যুগ্ম আহবায়ক মোবারক খান, মক্রবপুর গ্রামের শাহ আলম, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। পরে তাদের মধ্যে চারজনকে ছেড়ে দেন। শাহআলম ও আনোয়ারকে ভ্রাম্যমাণ আদালত নেয়া হয়েছে।
ইউপি আ: লীগের যুগ্ম আহবায়ক মোবারক খান বলেন, এবিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
মক্রবপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা চৌধুরী মকুল বলেন, রমজানের দিন আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার যারা করছে আল্লাহ তাদের বিচার করবে।

বাসার মালিক সেলিম মিয়া বলেন, আমি তাদেরকে নিষেধ করার পরও তারা এখানে এসে এসব করছে।
মক্রবপুর বাজার কমিটির সেক্রেটারি চেয়ারম্যানের সমর্থক নিজাম উদ্দিন সাংবাদিকদেরকে বলেন, চেয়ারম্যান জুয়া খেলছে তাতে কি হয়েছে? চেয়ারম্যান কি চুরি করেছে। সাংবাদিকদের লেখায় কিছু হবেনা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জুয়াড়ি জানান, থানা ম্যানেজ করেই রাতে মুক্তি পান।
রোববার নাঙ্গলকোট থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন- চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়নি। সকালে জানলাম দুইজনকে আটক করা হয়।
এ এসআই আবদুল আমিন বলেন, তিনি ও সেকেন্ড অফিসার ওবায়েদুল হকসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনকে আটক করেন। তাদেরকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঠানো হয়েছে ।