ডেস্ক রিপোর্ট।।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময় অর্জিত মাথাপিছু আয় ২০২১ সালের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছিল। বঙ্গবন্ধু সরকারের ১৯৭৫ সালের মাথাপিছু আয়ের বেঞ্চমার্ক অতিক্রম করতে বাংলাদেশের লেগেছে ৪৬ বছর। আর এই কাজটি করেছেন তারই কন্যা শেখ হাসিনা। চলতি বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির এক গবেষণায় এমন তথ্য ওঠে এসেছে। মঙ্গলবার রাতে উপকমিটির আয়োজনে ‘মাথাপিছু আয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের যুগান্তকারী সাফল্য: গবেষণা ফলাফল প্রকাশনা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং উপকমিটির সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদ এই গবেষণপত্র প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
আরও আলোচনা করেন অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী, ইউএনডিপির কান্ট্রি ইকোনমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ প্রমুখ।
গবেষণা ফলাফলে বলা হয়, ২০২১ সালের আগে একমাত্র জাতির পিতার সরকারের সময় অর্জিত মাথাপিছু আয় দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ ছিল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর সরকারের মাথাপিছু আয় চীনের মাথাপিছু আয়ের চেয়ে ১০০ ডলার বেশি ছিল। বঙ্গবন্ধু সরকারের মাথাপিছু আয়ের বৃদ্ধির হার ছিল ৫৩.৮০%, যা গোটা পৃথিবীর জন্য একটি রেকর্ড। ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২২২৭ ডলারে উন্নীত করে বাংলাদেশকে আবারও দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
এতে বলা হয়, জাতির পিতার সুদৃঢ় নেতৃত্ব, অসীম সাহসিকতা ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশে মাত্র সাড়ে তিন বছরে মাথাপিছু আয় প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ১৯৭২ সালে মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৯৪ মার্কিন ডলার। জাতির পিতা ১৯৭৫ সালে মাথাপিছু আয় ২৭৮ ডলারে উন্নীত করেছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে কোনো দেশের মাথাপিছু আয় তিন গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার নজির পৃথিবীতে বিরল।
গবেষণাপত্রে দেখানো হয়, জাতির পিতার সরকারের ১৯৭৫ সালের ২৭৮ ডলার মাথাপিছু আয়ের বেঞ্চমার্ক ২০২১ সালের আগে বাংলাদেশের কোনো সরকার অতিক্রম করতে পারেনি। জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার দুই মেয়াদের সরকারের মাথাপিছু আয় বঙ্গবন্ধুর সরকারের মাথাপিছু আয়ের চেয়ে অনেক কম ছিল।
ওয়েবিনারে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ছিল ৮ বিলিয়ন ডলার। ২০০৬ সালে বিএনপির সময় আমাদের জিডিপির আকার ছিল চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। সেই বাংলাদেশের জিডিপি আজ দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ কোটি টাকারও বেশি।
ড. মসিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সরকার যে উন্নয়ন শুরু করেছিলেন, সেটি তার মৃত্যুর পর থমকে গিয়েছিল। কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়েছেন মানুষকে কেন্দ্র করে।