বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারাও এক সময় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিবে-কুমিল্লায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

মারুফ আহমেদ।।
জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য পৃথিবীর কোথাও শিক্ষাগত যোগ্যতা মূখ্য নয়। জনবান্ধব এবং মেধাবী হয়ে, উচ্চশিক্ষিত না হলেও অনেকেই ভালো করছেন। শিক্ষিত হলে অবশ্যই আরো বেশি ভালো হবে, আমরা আশা করছি, এক সময় দেখা যাবে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারাও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিবে। কুমিল্লা স্টার্ট আপ- এর উদ্বোধন করতে এসে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আই সি টি ডিভিশনের উদ্যোগে কুমিল্লা ক্লাব অডিটোরিয়ামে শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত স্টার্ট আপ কুমিল্লার গ্র্যান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার, আই সি টি ডিভিশনের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবীর চৌধুরী, আই সি টি বিভাগের আইডিয়া প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুধু রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করলেই হবেনা, নাগরিক সেবা ও সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে। শহরে বসবাসরত মানুষের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করবেন, হোল্ডিং ট্যাক্স নিবেন আর নাগরিক সুবিধা দিবেন না এটা হতে পারে না। সিটি কর্পোরেশনসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান গুলোতে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করে স্বনির্ভরশীল হওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন রাজস্ব আদায়ে কোন রকম বৈষম্য করা যাবে না। কারো থেকে বেশি, কারো থেকে কম এমনটা করা যাবে না।
এসময় মন্ত্রী কুমিল্লা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি সরবরাহ, রাস্তা-ঘাট-ব্রিজ নির্মাণসহ জলাবদ্ধতা নিরসন করার পাশাপাশি অন্যান্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রী তরুণ উদ্ভাবকদের মেধা, সৃজনশীলতা ও মানসিক শক্তিকে কাজে লাগাতে উৎসাহিত করে বলেন, ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে আমরা দেশের অসংখ্য উন্নয়ন করতে পারছি। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে সময়কে কাজে লাগাতে হবে এবং দুর্নীতিকে না বলতে হবে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করে সুপ্ত প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে একটি তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর জাতি বিনির্মাণে কাজ করতে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহবান জানান। চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হয়ে আরও বিশ জনকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য তরুনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জীবনে অনেক ঘাত- প্রতিঘাত আসবে কিন্তু থেমে থাকা যাবে না। নিজের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান আরোহন করে জীবনে নব দিগন্তের সূচনা করতে হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সুযোগ্য সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে দেশ তথ্য প্রযুক্তিতে খুব শিগগিরই সুপার ন্যাশনে পরিণত হবে।বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত-সমৃদ্ধ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয় সামাজিক সূচক ও পরিবেশসহ মাল্টিসেক্টরাল উন্নয়ন প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত কুমিল্লার ৮০জন ছাত্র-ছাত্রীগণ নতুন স্টার্ট আপএ উদ্যোক্তা হিসেবে অংশ নেন।