পাঁচ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড কুমিল্লার চার গ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার।।
পাঁচ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় কুমিল্লার আদর্শ সদর ও বুড়িচং উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। ক ঝড়ে সদরের কালিরবাজার ইউনিয়নের সৈয়দপুর এবং বুড়িচং এর ডুবইচর, চাঁনগাছা ও কালাকচুয়া গ্রামে উপড়ে পড়ে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি, টিনসেট ঘরের চাল, কাঁচা এবং আধাপাকা ঘর-বাড়ি। নষ্ট হয়েছে মাঠে থাকা ধানসহ কৃষকের বিভিন্ন ফসল। বুধবার বিকাল পৌনে ৫টায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় চার গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন কালিরবাজারের সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দারা।

সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. জসিমউদ্দিন জানান, আকাশে তিন-চারটি বিকট শব্দ করে, সেই সঙ্গে ভয়ঙ্কর ঝড়। মুহূর্তের মধ্যে বাড়ির পাশের কয়েকটি বড় বড় গাছ উপড়ে পড়লো। সেই সঙ্গে আমার মুরগির ফার্মের চাল ঝড়ের সাথে ভেঙ্গে পড়লো। চার দিকে শুরু হলো মানুষের মধ্যে চিৎকার।
স্থানীয় মেম্বার মো. মোস্তফা জানান, সৈয়দপুরে আমার একটি দোকান আছে। দেখলাম আকাশ কালো অন্ধকার হয়ে আসছে। শুরু হলো শিলাবৃষ্টি। আমি দোকানের সাটার নামাতে গেলাম। দুই-তিনটি শব্দ করে হঠাৎ খুব জোরে শোঁ শোঁ আওয়াজ শুরু হল। সাটার নামানোর সময় ফেলাম না। তারমধ্যেই চারদিকে ঘর,বাড়ি,গাছ-পালা ভাঙ্গা শুরু হলো। ঘরের চাল ঘূর্ণিঝড়ের সাথে গাছের আগায় উঠে যায়। সড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়েছে। দোকানের পাশের একটি টিউবওয়েল ছিল, সেটির উপরের অংশ উপড়ে পড়েছে ঝড়ের তীব্রতায়।
তিনি আরও জানান, ঝড়ে পাকা ধান ও বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সৈয়দপুরসহ চার ও পাঁচ গ্রামের কৃষকরা।

বুড়িচংয়ের চাঁনগাছা গ্রামের মুরগি ফার্মের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান,তার মুরগি রাখার সাতটি ঘর ঝড়ে উপড়ে গেছে। এতে ২৫লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
কালিরবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সেকান্দর আলী জানান, আমার একটি ঘরের চাল উপড়ে পড়েছে। আমার ইউনিয়নের সৈয়দপুরের অনেক মানুষ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা ও ফসল নষ্ট হয়েছে। সেই সাথে পাশ^বর্তী উপজেলা বুড়িচংয়ের কয়েকটি গ্রামেও ঝড় তা-ব চালিয়েছে। তারাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।