বুড়িচংয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে একই গ্রামে ৩ বাড়িতে ডাকাতি; নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট

মারুফ আহমেদ।।
কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের একই গ্রামে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ বাড়িতে ডাকাতি, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট।

জানা যায়,জেলার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়া এলাকার ছিদ্দিকুর রহমানের বাড়িতে গত ৪ এপ্রিল গভীর রাতে গেটের তালা কেটে দেশীয় অস্ত্র হাতে মুখোশ পড়া অবস্থায় ৫ জনের ডাকাত দল ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে । এসময় ঘরে থাকা লোকজন টের পেয়ে চিৎকার করতে গেলে ডাকাতরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের মুখ চেপে ধরে হাত-পা বেঁধে ফেলে। ঘরের লোকজনের কাছ থেকে আলমারির চাবি ছিনিয়ে নিয়ে রক্ষিত নগদ ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা ও স্বর্নের কানের দুলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। পরে ঘরের দরজা বাহির থেকে বন্ধ করে দিয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।

এদিকে এ ঘটনার কয়েকদিন পরপরই ঈদের আগের দিন রাতে একই এলাকার সৌদি আরব প্রবাসী মাহমুদুল হাসান আশিকের ঘরে হানা দেয় ডাকাত দল। একই কায়দায় গেটের তালা কেটে ঘরের ভিতরে ঢুকে আশিকের মা সহ ঘরের সকলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরে রক্ষিত নগদ ৫০ হাজার টাকা ও কানের দুলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।

সবশেষ দ্বিতীয় ঘটনার দুই দিন পরই আবার একই গ্রামের ফ্রান্স প্রবাসী ইমাম হোসেনের ঘরে রোববার গভীর রাতে বারান্দার গেটের শিকলসহ তালা কেটে মুখোশ পড়া ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকেই ইমাম হোসেনের স্ত্রী রুমি আক্তারকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এসময় ঘরে থাকা সকলকে জিম্মি করে গলার স্বর্নের চেইন ও কানের দুল নিয়ে যায়।

ডাকাতির ঘটনার পরদিনই বাড়িগুলোর আশেপাশে পরিত্যক্ত অবস্থা ফেলে যাওয়া ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, জুতা,শার্ট সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া যায়।

ডাকাতির ঘটনার বিবরণ দিয়ে ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আব্দুল কাদের বলেন, ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বুড়িচং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

এদিকে পরপর বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় ওই গ্রামের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে আছেন। স্থানীয়রা বলছেন ডাকাত আতঙ্কের কারণে অনেকটা নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের। তারা বলছেন একই গ্রামের এক সপ্তাহে পরপর তিনটি ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও তেমন কোন নজরদারি নেই প্রশাসনের। এমন কি এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতেও শুনিনি। ডাকাতদের দ্রুত গ্রেফতারের পাশাপাশি এমন ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য জেলা পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে বুড়িচং থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন চৌধুরী বলেন, ডাকাতির বিষয়টি আমরা শুনেছি। ঘটনাস্থল আমাদের অফিসাররা পরিদর্শন করেছে। ডাকাত ধরতে আমাদের টিম কাজ করছে।