কুমিল্লায় ৩শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পশুর চামড়া!

স্টাফ রিপোর্টার।।
চামড়ার ক্রেতা আসেনি। তাই স্থানীয় মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দান করা হলো কোরবানীর পশুর চামড়া। বিনামূল্য পাওয়া পশুর চামড়া সংরক্ষণে ব্যস্ত ছিলো এতিমখানা ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। পরে সেই চামড়া বিক্রি করা গড়ে ৩শ টাকা করে। গতকাল কোরবানীর ঈদের দিন বিকেলের পর থেকে এমন চিত্রই দেখা গেলো পুরো কুমিল্লাজুড়ে।

কোরবানীর জন্য ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যর গরু কিনলেন আবদুস সামাদ। তার প্রতিবেশী ইয়াকুব মিয়া। তিনি গরু কিনলেন ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে। গতকাল কোরবানী শেষে গরুর চামড়া দিয়ে দিলেন স্থানীয় মাদ্রাসায়। সেখান থেকে রাতে ছোট বড় সব চামড়াই গড়ে ৩শ টাকা করে চামড়া বিক্রি হলো।

স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আবদুস সামাদ ও ইয়াকুব আলী জানান, গত বছরের মত এ বছর তাদের পশুর চামড়া গোমতী নদীতে ফেলে দিতে হয় নি। এ বছর ক্রেতা না পেলেও স্থানীয় মাদ্রাসায় দান করলেন। পরে সেখান থেকে ক্রেতারা চামড়া কিনে নিয়ে যায়।

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কালখড়পাড় হায়েজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোঃ খোরশেদ আলম। তিনি জানান, গতকাল পশু কোরবানীর পরে ক্রেতা না আসায় অনেকেই মাদ্রাসায় চামড়া দান করেন। কালখড়পাড় হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ১৫৭ টি চামড়া পাওয়া যায়। পরে রাতে চামড়ার পাইকার আসেন। প্রতিটি চামড়া গড়ে ৩১০ টাকা কিনে নিয়ে যান।

চামড়া ক্রেতা সদর উপজেলার যশপুর গ্রামের আলী আক্কাস। তিনি কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চামড়া ক্রয় করেছেন। কথা হয় চামড়া ক্রেতা আলী আক্কাসের সাথে। আলী আক্কাস জানান, গত কয়েক দিন আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি সভায় অংশ গ্রহণ করেন। তারপর তিনি তার ট্যানারীর জন্য চামড়া ক্রয় করেছেন। সদর ও লাকসাম থেকে অন্তত দশ হাজার চামড়া ক্রয় করেছেন। চামড়া সংরক্ষনের জন্য সাড়ে ৪ লাখ টাকার লবন ক্রয় করেছেন। এই লবন দিয়ে চামড়া সংরক্ষন করবেন।

কুমিল্লা ঋষিপট্টির চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রতন ঋষি জানান, সিন্ডিকেটের কারনে গত বছর চামড়ার দরপতন হয়। চামড়া কিনে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। তবে এ বছর সিন্ডিকেট না থাকলেও চামড়ার বৈদেশিক চাহিদা কম রয়েছে। তাই চামড়ার দর কম। রতন ঋষি জানান, গড়ে ৩শ টাকা করে তিনি ৬শ চামড়া ক্রয় করেছেন। তার মতো অন্তত আরো ১০/১২ জন চামড়া ব্যবসায়ী রয়েছে। সবাই গড়ে ৩শ টাকা দরে কম বেশী চামড়া ক্রয় করেছেন।