কুমিল্লা-নোয়াখালী ফোরলেনের অগ্রগতি নিয়ে সেতুমন্ত্রীর অসন্তোষ

স্টাফ রিপোর্টার।।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। জনদুর্ভোগ সহ্য করা হবে না, কোনো অজুহাত নয়। শীততপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে না থেকে সরেজমিন প্রকল্প এলাকায় গিয়ে কাজ করুন। তিনি কুমিল্লা- নোয়াখালী ফোর লেন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত এ কাজ এগিয়ে নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের কুমিল্লা জোনের উন্নয়ন প্রকল্প সমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।
গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে তিনি বলেন, সবাইকে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। যানবাহনে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়া যাবে না। নিষেধ করার পরও কেনো ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ময়লা আবর্জনা ও পোস্টার ব্যানার থাকবে। এসব পোস্টর ব্যানার যারই হোক না কেনো তিনি তা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। এ সময় কুমিল্লা জোনে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন কুমিল্লা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শওকত আলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া, নোয়াখালীর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুর রহিম,কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ডঃ মোঃ আহাদুল্লাহ,নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী বিনয় কুমার পাল, লক্ষীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী শুভ্রত দত্ত,ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ কুমার ভৌমিক, চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ারুল ইসলাম,কুমিল্লার বিআরটি’র সহকারী পরিচালক আবু আশরাফ সিদ্দকী মান্নান। এছাড়া ঢাকায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন। ভিডিও কনফারেন্সে সওজ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শওকত আলী জানান, জোনে ২৫০০ কি.মি ও কুমিল্লা জেলায় ১৭৮২ কি.মি রাস্তা রয়েছে। কুমিল্লায় টমছম ব্রিজ – নোয়াখালী ফোর লেন সড়কের নির্মাণ কাজে চারটি প্যাকেজের মধ্যে লালমাই- লাকসাম প্যাকেজের কাজ সময়মত শুরু করা যায়নি। এ প্যকেজের এলাইনমেন্ট পরিবর্তন সিদ্ধান্তহীনতায় কাজের টেন্ডার আহবান করতে দেরি হয়েছে, এক মাস আগে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। আশা করি যথা সময়ে উক্ত প্যাকেজের কাজ সম্পূর্ণ হবে।
উল্লেখ্য,কুমিল্লা- নোয়াখালী ফোর লেন প্রকল্পের কাজ ধীরগতিতে চলছে। এনিয়ে এ অঞ্চলের যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন।