নাঙ্গলকোটে ভাতিজাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলায় খুন
স্টাফ রিপোর্টার।।
ঢাকা থেকে নাঙ্গলকোটের নিজ বাড়িতে আসা ভাতিজাদের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলায় বড় ভাই, ভাতিজাসহ তাদের লোকজনের হামলায় ছোট ভাই খুন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার দৌলখাঁড় ইউপির সোন্দাইল গ্রামের পূর্ব পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তিন সন্তানের জনক নিহত ছোট ভাই মোহাম্মদ হোসেন মিয়া (৪০) ওই গ্রামের মৃত. ইউছুফ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, নিহত মোহাম্মদ হোসেন মিয়ার বড় ভাই দুলাল, তার স্ত্রী কাজল বেগম, ছেলে সহিদ, আরমান, জালালের স্ত্রী রেহেনা বেগম ও ছেলে ফারুক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন পূর্বে বড় ভাই দুলালের দুই ছেলে সহিদ (২৮) ও আরমান হোসেন (২১) ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন। এনিয়ে তাদের চাচা হোসেন মিয়া দু’ভাতিজাকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বাড়ি থেকে বের না হতে নিষেধ করেন। এতে ভাতিজারা ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা হোসেন মিয়াকে গালমন্দ করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বড় ভাই দুলাল, তার ছেলে সহিদ, আরমান, আজিম, জালাল ও তার ছেলে ফারুকসহ ১০/১২ জনের একটি গ্রুপ হোসেন মিয়াকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তার চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে ওই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মোহাম্মদ হোসেনের স্ত্রী কহিনুর বেগম বলেন, গতকাল সোমবার তার স্বামী এক আত্মীয়ের নামাজে জানাযা শেষে বাড়িতে আসার পর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ভাতিজাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা নিয়ে ভাই ও ভাতিজাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা লাঠি ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাকে হত্যা করে। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত করে বিচারের দাবি জানায়। অভিযুক্ত দুলাল বলেন, বাড়ির জায়গা নিয়ে তার ভাইয়ের সাথে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ভাই ভাতিজারা মিলে হোসেন মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। এঘটনায় ছয়জনকে আটক করা হয়। বাদীর অভিযোগের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।