নিজের টিপসই দিয়ে দরিদ্রের চাল তুলতেন ইউপি মেম্বার ! ( ভিডিও)

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে অভিনব কায়দায় চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন মেম্বারের বিরুদ্ধে। দরিদ্র মানুষের নামে কার্ড করে নিজে টিপসই দিয়ে চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠে দেবিদ্বার সুবিল ইউনিয়নের ৮ নং ইউপি মেম্বার নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী জানান, তাদের নামে যে ওএমওস এর কার্ড আছে সেটা তারা জানেন না। গত মঙ্গলবার তাদের হাতে কার্ড তুলে দেন গ্রাম পুলিশ আক্তার হোসেন। বলেন, এখন থেকে তারা ১০ টাকা কেজি চাল পাবেন। ঐ কার্ডে দেখা যায়, ২০১৬ সাল থেকে টিপসই দিয়ে চাল তোলা হয়েছে। টিপসই বা আঙ্গুলের ছাপের বিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিম পোমকাড়া গ্রামের স্বপন মজুমদার জানান, ‘আমার নামে যে কার্ড আছে সেটাই তু জানি না। আমাকে এই কার্ডটা দিয়ে গেছে। দেখি ওরা ১৫ টা টিপসই দিয়ে রাখছে’। তদন্তে বেড়িয়ে আসে এমন আরো ১২টি ভুক্তভুগী পরিবারের তথ্য। তারা হলেন, স্বপন মজুমদার, মো শফিকুল ইসলাম, রফিজ, চাঁন মিয়া, কাবিল, খাইরুল, দেলোয়ারা বেগম, ফুল মিয়া, শহীদ মিয়া, দেলোয়ার হোসেন। তারা জানান, তাদের নামে যে কার্ড আছে এটা তারা জানতেনও না। প্রত্যেকের কার্ডে ইউপি মেম্বার নিজের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে চাল তুলে আত্মসাৎ করেছে বলে তারা অভিযোগ করেন। ওএমএস এর কার্ড গুলো যাচাই করে দেখা যায়, প্রত্যেক গ্রাহকের কার্ড ব্যবহার করে চাল তোলা হয়েছে কমপক্ষে ১৩-১৭ বার। যা ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয়েছে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত সুবিল ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমার ওয়ার্ডে দরিদ্র বেশী। তাই সবাইকে ত্রাণ দিতে গিয়ে একজনের নামের কার্ড দিয়ে অন্যজনকে চাল দিতে হয়েছে’। তিনি জানান, এমন ওএমএস- এর ৮০ টি মতো কার্ড রয়েছে তার ওয়ার্ডে।
উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল সুবিল ইউনিয়নে ওএমএস এর ডিলার ও ৭নং ওয়ার্ড মেম্বারের বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলায় সকল প্রতিনিধিদের গ্রাহকের হাত কার্ড পৌঁছে দিতে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান।

(বিঃদ্রঃ-আমাদের পোর্টাল থেকে নিউজ কপি করবেন না, নিউজ কপি করে যে সমস্ত পোর্টালে প্রকাশ করছেন, সবাইকে তদারকি করা হচ্ছে। যে নিউজটি কপি করছেন সেটার স্ক্রিনশটও রাখা হচ্ছে। কপি করা বন্ধ না করলে পোর্টালের নাম এবং স্ক্রিনশটসহ প্রকাশ করা হবে।)