আক্রান্ত কমেছে কুমিল্লা নগরীর চার ওয়ার্ডে

মাসুদ আলম।।
কুমিল্লা নগরীর রেড জোন চিহ্নিত চারটি এলাকায় করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করেছে। এতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন লকডাউন সফলের আভাস পাচ্ছেন। যদিও রেড জোন চিহ্নিত এলাকাগুলোতে আজ ৩ জুলাই লকডাউনের ১৪ দিন পূর্ণ হবে। তার আগেই প্রতিদিনের রিপোর্টে গত ১০ দিনের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ আক্রান্ত কমেছে রেড জোন চিহ্নিত এলাকাগুলোতে। বাকী কয়েকদিন এই হারে আক্রান্তের সংখ্যা কমলে লকডাউনে সফল হবে। জানান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ৩, ১০, ১২ এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডকে রেড জোন চিহ্নিত করে গত ২০ জুন লকডাউন ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। লকডাউন ঘোষণার আগে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৬ জন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ১১৮ জন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ১১ জন এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৪৩ জন। তার মধ্যে মৃত্যু ছিল ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একজন এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন।
রেড জোন চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোষণার পর গত ১০ দিনে সংক্রমণের হার কমে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১০জন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে নয়জন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে আটজন এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে চারজন। এছাড়া এই ১০ দিনে রেড জোন চিহ্নিত চারটি ওয়ার্ডে কোন মৃত্যু নেই।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র আরও জানায়, এই ১০ দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থতার হারও বেড়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১৮ জন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ৪৩জন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে দুইজন এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২২জন।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান জানান, রেড জোনে আক্রান্ত নিয়ন্ত্রণে আনতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্বের তুলনায় লকডাউন ঘোষণার পর এলাকাগুলোতে ৮০ শতাংশ আক্রান্তের হার কমেছে। ১৪ দিন অতিক্রম করলে এর হার আরও কমে আসবে।
তিনি আরও জানান, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের চারটি রেড জোন এলাকায় লকডাউন সফল করতে স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ, জনপ্রতিনিধিরা, স্বেচ্ছাসেবকরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও নিজের দায়িত্ববোধ থেকে লকডাউন মেনে চলেছেন। যার কারণে বর্তমানে আক্রান্তের নমুনা দেখে আশা করছি কুমিল্লার চারটি ওয়ার্ড লকডাউনে সফল হবে।
উল্লেখ্য, রেড জোন চিহ্নিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের চারটি ওয়ার্ডের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়াজুরি, রেইসকোর্স, শাসনগাছা বাদশা মিয়ার বাজার। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাউতলা, পূর্ব বাগিচাগাঁও, পুলিশ লাইন, বাদুরতলা, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নানুয়ার দিঘিরপাড়, নবাববাড়ি চৌমুহনী, দিগম্বরীতলা এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের টমটম ব্রিজ, থিরাপুকুরপাড় ও দক্ষিণ চর্থা এলাকায় বাঁশের বেড়া দিয়ে মানুষ যাতায়াতের প্রবেশপথ বন্ধ করা হয়।