মোঃ আবদুল আউয়াল সরকার।।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের ওয়াহেদপুর
হতে দেবিদ্বার যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটির বেহালদশা। রাস্তাটির অবস্থা দিনের পর দিন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তাটির বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
এখন এই রাস্তায় পায়ে হেঁটে চলাচলের মতো অবস্থা নেই। রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এই রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাতের কারণে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে কাঁদা মাটিতে একাকার হয়ে গেছে।
ঘন বর্ষার সময় কাদায় শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই রাস্তায় চলাচল করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবে চলাচলের আর উপায় থাকে না। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারে না এই অচলাবস্থার কারণে।
এলাকাবাসী জানান, বর্ষাকালে এ রাস্তায় কর্দমাক্ততার কারণে হাঁটাও দায় হয়ে পড়েছে। তবুও কর্দমাক্ত পিচ্ছিল এ রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন এই এলাকার মানুষ ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করছে।
কর্দমাক্ত রাস্তা পাড়ি দিয়েই হাট-বাজারে যেতে হয় এলাকাবাসীকে। নির্বাচন এলেই জনপ্রতিনিধিরা রাস্তাঘাট পাকাকরণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু নির্বাচনের পরে আর কেউ এর খোঁজ রাখেন না।
এলাকার বাসিন্দা মো.কবির হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নেতা আসে নেতা যায়, কিন্তু এ রাস্তা পাকা হয় না। বর্ষা এলে প্রতিবছরই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়ে। হাঁটুসমান কাদামাটি পেরিয়েই এ রাস্তা দিয়ে যেতে হয়।
এলাকাবাসী জানায়, জনপ্রতিনিধি বদলায় কিন্তু বদলায় না আমাদের এলাকার দুর্ভোগের চিত্র। ফলে এই এলাকার চাষীরা উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করণ নিয়েও পড়েন বিপাকে এছাড়া কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া কষ্ট হয় তাদের।
দেবিদ্বার উপজেলা প্রশাসনের নিকট এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি, এই রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হোক।
বৃষ্টি না হলে কোনোভাবে পায়ে হেঁটে চলা যায়। কিন্তু বর্ষাকাল এলে যানবাহন চলাচল ও হেটে চলা খুবই কষ্টকর। তাই ভুক্তভোগী এলাকাবাসী রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ৪ নং সুবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার মুকুল ভূঁইয়ার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই রাস্তার ব্যাপারে উন্নয়ন কাজটি প্রক্রিয়াধীন আছে।