করোনা পজিটিভ কিনা জানা যাবে স্মার্টফোনে

স্টাফ রিপোর্টার।।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনাভাইরাস নাজুক করে দিয়েছে অর্থনীতির চাকা, থমকে গেছে মানুষের জীবনব্যবস্থা। প্রতিনিয়ত বাড়ছে নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যু হার। কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা পেতে বিষেষজ্ঞরা বলছেন বেশি পরীক্ষা এবং শনাক্তের পর দ্রুত আইসোলেশনে যাওয়া।

কোভিড-১৯ আক্রান্ত কিনা জানার জন্য প্রচলিত যেসব পরীক্ষা চালু আছে তা খুবই ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ। এবার নতুন এক প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে বিজ্ঞানীরা। মাত্র ৩০ মিনিটে স্মার্টফোনের ক্যামেরার মাধ্যমে জানিয়ে দেব কোভিড (COVID-19) আক্রান্ত কিনা।

সিআরআইএসপিআরের মাধ্যমেই অত্যন্ত সহজে কম সময়ে এ পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে। করোনা টেস্টের ক্ষেত্রে ভাইরাল আরএনএস থেকে ডিএনএতে বদল ঘটানোর পর ভাইরাস চিহ্নিত করা যায়। যাতে ফলাফল জানতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যায়। কিন্তু নতুন এ সিআরআইএসপিআর পদ্ধতির প্রয়োগে ভাইরাল আরএনএ থেকে আধ ঘণ্টার মধ্যেই রিপোর্ট জানা যাবে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।

শুধু তাই নয়, তারা জানাচ্ছেন, এ পদ্ধতিতে যেমন কোনো ব্যক্তি করোনা পজেটিভ না নেগেটিভ বলে দেয়া যাবে, একইভাবে ভাইরাসের প্রভাব শরীরে ঠিক কতখানি, তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়া সম্ভব।

আমেরিকার গ্ল্যাডস্টোন ইন্সটিটিউটের সিনিয়র ইনভেস্টিগেটর জেনিফার জানান, সিআরআইএসপিআর-বেস্ড ডায়াগনোসিসের সবচেয়ে ভালো বিষয় হল এর মাধ্যমে নির্ভুল তথ্য খুব অল্প সময়েই পাওয়া যায়। যেসব জায়গায় টেস্টিংয়ের সমস্যা কিংবা সেভাবে টেস্টিং হচ্ছে না, সেখানকার জন্য এ প্রযুক্তিকে দারুণভাবে কাজে লাগানো যাবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে সোয়াব টেস্টের নমুনাটি একটি ডিভাইসের ওপর রাখতে হয়। যেটি কিনা স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত করা থাকবে। নমুনাটি এমনভাবে রাখতে হয় যাতে মোবাইলের ক্যামেরার মাধ্যমে তা দেখা যায়। এখানে ক্যামেরাটি আদতে আতশকাচের কাজ করে। তাতে চোখ রেখেই বলে দেয়া যায় নমুনাটি করোনা পজেটিভ নাকি নেগেটিভ।

যদি নমুনা কোষে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলে, তখন কম্পিউটারের পর্দায় ভেসে ওঠে, করোনাভাইরাস পজেটিভ। আর যদি নমুনা কোষে করোনাভাইরাস না পাওয়া যায়, তখন করোনাভাইরাস নেগেটিভ লেখা ভেসে ওঠে। বর্তমানে বেশিরভাগ মোবাইল ফোন থেকেই এ টেস্ট করা সম্ভব বলেই জানান গবেষকরা। এমনকি তারা এও দাবি করেছেন, মাত্র ৫ মিনিটেও অনেক সময় ভাইরাস চিহ্নিত করতে পারে এটি। তবে নির্ভুল ফল পেতে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটই সময় নেয়। করোনা টেস্টের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে এটি বড় আবিষ্কার