কুমিল্লা মেডিকেলে সাংবাদিককে পেটালো ওয়ার্ড মাস্টার

স্টাফ রিপোর্টার ।।
সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিককে মারধর ও লাঞ্চিত করে ওয়ার্ড মাষ্টার। সোমবার বেলা ৩ টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর হাসপাতাল থেকে ওয়ার্ড মাষ্টার আক্তার হোসেন পালিয়ে যায়।

তবে ঘটনা তদন্ত করে অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার আক্তারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রেজাউল করিম।

ঘটনার শিকার সাংবাদিক অমিত মজুমদামদার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোষ্টের কুমিল্লা সংবাদদাতা। এছাড়া জাগো কুমিল্লা নামে একটি অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক।

সাংবাদিক অমিত জানান, সোমবার ৩ টায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে করোনার সংবাদ সংগ্রহে যান। তবে যাওয়ার আগে তিনি হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক থেকে অনুমতি নিয়ে তিনি করোনা ইউনিটের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলতে চাইলে ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন।

এক পর্যায়ে আমাকে মারপিঠ করেন এবং ক্যামরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে উপস্থিত আনসার সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেন বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার মোবাইল ফোনে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

তবে ঘটনার সময় ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায় ওয়ার্ড মাষ্টার আক্তার অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন ও বারবার ওই সাংবাদিককে মারার জন্য উদ্যত হন। এক পর্যায়ে সাংবাদিককে ধাক্কা ও চড় থাপ্পড় দেন।

সাংবাদিককে মারধরের বিষয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রেজাউল করিম বলেন, একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। তিনি দূঃখ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। তবে করোনা ইউনিটের ছবি সংগ্রহ করার আগে স্বাস্থ্য বিভাগের রুল ফলো করা উচিত। কিন্তু হুট করে সাংবাদিককে মারধর বা লাঞ্চনার ঘটনা ঠিক হয় নি। এটা মেডিকেলের বিষয়, আমার কাছে বিষয়টি আসলে -তা খতিয়ে দেখবো।