নাঙ্গলকোটে গলায় ছুরি ধরে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

আবদুল্লাহ আল মারুফ।।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে গলায় ছুরি ধরে মাদরাসা ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পেরিয়া ইউনিয়নের মাধবপুরে এ ঘটনা ঘটে। সে স্থানীয় একটি দাখিল মাদরাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী।

ছাত্রীর বাবা জানান, ১২ এপ্রিল (সোমবার) আমার মেয়ে বাইরে বাথরুমে গেলে তাকে পাশের বাড়ির কাউছার মজুমদার (২৬) মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে যায়। আমার মেয়ে চিৎকার চেচামেচি করলে সে আমার মেয়ের গলায় ছুরি ধরে। এরপরেও আমার মেয়ে ধস্তাধস্তি করতে থাকে, ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আমার মেয়ে নাকে আঘাত পায়।
তিনি আরও জানান, ধর্ষণের পর আমার মেয়েকে সে ফেলে রেখে চলে গেলে মেয়ে চিৎকার দেয়। আমি বাড়ি থেকে দৌড়ে যাই। আমি গিয়ে আমার মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাই। অসুস্থ মেয়েকে আমি ধর্ষক কাউছার মজুমদারের বাড়ি নিয়ে যাই। তারা আমাকে বিচারের বদলে আমার মেয়ের জামা কাপড় পানি দিয়ে ধুয়ে দিয়ে প্রমাণ লোপাট করে। তারা আমাকে কোন প্রতি উত্তর না দিলে আমি থানায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিলে তারা বলে থানায় যেতে হবে না, আমরা দেইখা লমু বলে হুমকি দেয়।
কথা বলার এক পর্যায়ে ওই মেয়ের বাবা ভেঙে পড়েন । কান্না জড়িত কণ্ঠে বলে উঠেন,‘ আজ বাবা হয়ে মানুষের কাছে মেয়ের ধষর্ণের বিচার চাওয়া লাগে। এই কাউছার এর আগেও আমার মেয়েকে বিরক্ত করেছে, মেয়ে আমারে জানালে আমি তাকে হুঁশিয়ার করে দিই। কিন্তু সে আমার সর্বনাশ করেই দিল। আমি তার বিচার চাই।

ধর্ষণের বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, থানায় এই বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। তার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি কোর্টে ম্যাজিস্ট্রটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে। এখন শুধু অভিযুক্ত কাউছারকে গ্রেপ্তার করা বাকি আছে। আমরা তাকে গ্রেপ্তার তৎপরতা চালাচ্ছি।