কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পাঁচ দফা দাবিতে ফের বিক্ষোভ মিছিল

কুবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতাকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ক্যাম্পাস এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। পরে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এসময় আন্দোলনের মুখপাত্র জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা পাচঁ দফা দাবি নিয়ে পুণরায় বিক্ষোভ মিছিল করেছি। ছাত্রদের মারধরের ৬দিন পার হলেও এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এখানে কি অপশক্তি পেছনে কাজ করছে সেটা আমরা জানতে চাই। আমাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়কে মেনে নিতে হবে, অন্যথায় আমাদের যৌক্তিক ও শান্তিপূর্ণ এ দাবি চলমান থাকবে।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন আন্দোলনরত ছাত্রলীগ নেত্রী ইসরাত জাহান জেরিন, ছাত্রলীগ নেতা এনায়েত উল্লাহ, আইন বিভাগে শিক্ষার্থী ইরা। তারা উপাচার্যকে আন্দোলনে একাত্মতা পোষণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা সবাই দেখেছেন কীভাবে দিনে দুপুরে বহিরাগত এবং যুবদলের নেতাকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বহিরাগত এবং অছাত্রদের অস্ত্রসহ প্রবেশের পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। নিয়মিত ঘটতে থাকা এ সকল ঘটনায় দোষীদের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করে প্রশাসন সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলমান থাকবে জানিয়ে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। এরমধ্যে আগামী ১৪ মার্চ আধাবেলা অবস্থান কর্মসূচি, ১৫ মার্চ সংহতি সমাবেশ ও ১৬ মার্চ সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ হবে।
তাদের পাচঁ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে সাময়িক বহিষ্কৃত দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজনের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার, অছাত্র এবং বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, আহত শিক্ষার্থী এনায়েত উল্লাহ এবং মো: সালমান চৌধুরীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদানপূর্বক নিরাপদ ক্যাম্পাস সুনিশ্চিত, এবং হামলায় ইন্ধনদাতা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ।
এর আগে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে ৮ মার্চ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে সে আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রূপ নেয়। এরমধ্যে ৯মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে পাচঁ দফা দাবি ঘোষণা করে শিক্ষার্থী। এছাড়া ১২ মার্চ প্রক্টরের অপসারণসহ পাচঁ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেন তারা।