যে গ্রামের নারী-পুরুষদের অবাধ মেলামেশায় বাধা নেই!

সমাজ ভেদে রীতি-নীতি আলাদা। সংস্কৃতির ভিন্নতা মানুষকে আলাদা বৈশিষ্ট্য দিয়ে থাকে। ভারতে, প্রেম বিষয় নিয়ে এখনো সব জায়গায় গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। যদিও প্রেম গ্রহণযোগ্যতা পায় শারীরিক মিলন তো বিয়ের আগে ঘোর অপরাধ সমাজের নিদান থাকে এটাই। 

প্রেমের কারণে শারীরিক মিলনকে সামাজিকভাবে গ্রহণ করা হয় না, প্রেমের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে সমাজ পরিচালকরা ভুল হিসাবে চিহ্নিত করে দেন। কিন্তু ভারতে একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে বসবাসকারী উপজাতি প্রেমে শারীরিক সম্পর্ককে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার দেয়। এই জায়গায় প্রেম করা বা বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা অপরাধ নয়৷ এই সম্প্রদায়ে যৌন হয়রানির একটিও ঘটনা নেই।

ভারতের ছত্তিশগড়ের নকশাল অধ্যূষিত বস্তার জেলার কথা বলছি। যেখানে গোন্ড আদিবাসী সম্প্রদায়ের মুরিয়া উপজাতি এই ট্র্যাডিশন মেনে আসছে। এই আদিবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় বসবাস করে আসছে, তবে সবচেয়ে বড় কথা হল এই উপজাতির এমন বিশ্বাস রয়েছে যা ভারতের অন্যান্য জায়গাকে বিস্মিত করে। এই উপজাতি সরল-সাধাসিধে জীবনবোধে বিশ্বাস করে।

এখানে প্রেম এবং যৌনতাকে গোপনে করার প্রয়োজনীয়তা হয় না। অথবা প্রেম বিষয়টিকে অবজ্ঞা করার মতো কিছু বিবেচনা করা হয় না। এই সম্প্রদায়ে ঘোটুল নামে একটি প্রথা রয়েছে। এখানকার লোকেরা একটি ঘোটুল অর্থাৎ একটি বড় বাঁশের ঘর তৈরি করে যা শহুরে প্রেক্ষাপটে একটি নাইটক্লাবের সঙ্গে তুলনা করা যায়। এখানে যুবক-যুবতীরা একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাতে, একে অপরকে জানতে এবং মজা  ও ফূর্তি করতে আসেন।

শিশুটির বয়স ১০ বছরের বেশি হলে তার বাবা-মা তাকে ঘোটুলে পাঠাতে শুরু করেন। তিনি ঘোটুলে গিয়ে যা খুশি করতে পারেন। সেখানে যুবক-যুবতীরা বিয়ের আগেও একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে পারে (বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য পুরুষ-নারী স্বাধীন) এবং যত খুশি সঙ্গী থাকতে পারে। এখানে ছেলে-মেয়েরা কোনোরকম সামাজিক চাপ ছাড়াই তাদের সঙ্গী বেছে নিতে স্বাধীন।

পুরুষরা নাচ এবং চিরুনি দ্বারা নারীদের আকৃষ্ট করে,ঘোটুলে ছেলে-মেয়েরা একে অপরের সঙ্গে নাচ ও গান করে। যুবকটি অন্যান্য নারীর জন্য বাঁশের চিরুনি তৈরি করে, যা তারা তাদের চুলে আটকে রাখে। যদি কোনো নারী কোনো পুরুষের চিরুনি পছন্দ করে তবে সে এটি তার চুলে রাখে এবং এইভাবে তার ভালোবাসাকে গ্রহণ করে। ঘোটুলে, মানুষকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার অর্থ শেখানো হয় এবং তাদের প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষা সম্পর্কেও জানানো হয়। এই সম্প্রদায়ে যৌন হয়রানির একটিও ঘটনা নেই।
#সূত্র: নিউজ বাংলা ১৮