আ’লীগের হামলায় আহত মহিলাদল সভাপতিকে দেখতে হাসপাতালে কায়কোবাদ

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি কাজী তাহমিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মটর সাইকেল উঠিয়ে দেয় উপজেলা আওয়ামিলীগ নেতা সাজ্জাদ। এসময় তাহমিনা আক্তার মারাত্মক আহত হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লায় রেফার্ড করা হয়। তার হাত ভেঙে যায় এবং মাথায় প্রচন্ড আঘাতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

খবর পেয়ে ঢাকা থেকে বিএনপি নেত্রীকে দেখতে কুমিল্লা আকন্দ হাসপাতালে আসেন কুমিল্লা(৩) মুরাদনগরের সাবেক ৫ বারের এমপি ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। এসময় তিনি বলেন- কাজী তাহমিনা আমাদের দলের এক নিবেদিত প্রাণ। গত ১৭ টি বছর অন্যায় অত্যাচার সহ্য করে দলের প্রতিটি কাজে সে সক্রিয় ছিল। আমাদের নেতাকর্মীরা অসুস্থ হইলে তাহমিনা বিনা খরচে তাদের চিকিৎসা করিয়েছেন। এমন একজন নেত্রীর সাথে আজ যা ঘটেছে তার পূর্ণ তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার দাবি করছি।

২১ ডিসেম্বর রোববার উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলায় তারেক রহমান রহমান ঘোষিত ৩১ দফার লিফলেট বিতরণকালে তাহমিনা আক্তারকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ আক্রমণ করেন আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন।

উপস্থিত জনতা কাজী তাহমিনা আক্তারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং ঘাতক মোটরসাইকেল ও তার চালক আওয়ামী লীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ করে।

কাজী তাহমিনা আক্তারের সাথে থাকা উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ছিনু আক্তার বলেন- তাহমিনা আপার সাথে আমরা ৬০/৬৫ জন নারী ও ৩০/৩৫ জন পুরুষ ছিলাম। এর মাঝে আপা ছিলেন জনসমাগমের মাঝে অথচ আপার আশে পাশের কারো উপর মোটরসাইকেল না উঠিয়ে সভাপতি তাহমিনা আপার উপরে পিছন থেকে ইচ্ছাকৃতভাবেই মোটরসাইকেল উঠিয়ে দেয়। সাথে সাথেই আপা লুটিয়ে পড়ে। এটা পরিকল্পিত হামলা এবং আওয়ামী লীগের চলমান ষড়যন্ত্রের অংশ।

উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কামাল উদ্দিন ভুইয়া বলেন-কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ দাদার আস্থাভাজন নেতাকর্মীদের টার্গেট করে আওয়ামী লীগ, এনসিপি ও জামায়াত পরিকল্পিতভাবে হত্যার ষড়যন্ত্রে নেমেছে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি কাজী তাহমিনা আক্তারের উপর হামলা করেছে। হামলাকারী সাজ্জাদ ফ্যাসিষ্টের দোসর। ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের প্রভাব দেখিয়ে মানুষকে হামলা মামলা করার হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করত। এখনো সে উপজেলা ভূমি অফিসে কিভাবে বহাল থাকে?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান জামিল খান বলেন, ঘাতক মোটরসাইকেল আমরা রেস্কিউ করেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করব।