বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সহশিক্ষা সংগঠনগুলোর চাওয়া-পাওয়া

জাহিদুল ইসলাম।।
লাল মাটির সবুজ ক্যাম্পাস নামে পরিচিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। ২০০৬ সালের ২৮ মে যাত্রা শুরু করা এই বিশ্ববিদ্যালয় আজ ২০ বছরে পদার্পণ করেছে। সময়ের পরিক্রমায় দেশের অন্যতম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে। তবে এই পথচলা কেবল প্রশাসনিক বা একাডেমিক কাঠামোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে গড়ে ওঠা নানা সহশিক্ষা সংগঠনের সম্মিলিত প্রচেষ্টাও এই অগ্রযাত্রার পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী, সাহিত্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, খেলাধুলা এবং বিতর্কসহ নানা ধরনের সংগঠনগুলো শুধু সহশিক্ষা কার্যক্রমে প্রাণ সঞ্চার করছে না, বরং তারা শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব, মূল্যবোধ ও সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গাটিকেও সমৃদ্ধ করছে। বছরের পর বছর ধরে তারা কুবির ভাবমূর্তি ও পরিচিতিকে তুলে ধরছে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে।তবে এই সংগঠনগুলোর পথচলাও সবসময় মসৃণ নয়। রয়েছে অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, বাজেট ঘাটতি, উপযুক্ত সহায়তা ও স্বীকৃতির অভাবসহ নানা চ্যালেঞ্জ।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে তাই সংগঠনগুলোর তরফ থেকে উঠে আসে কিছু চাওয়া – পাওয়া। সংগঠনগুলোর ভূমিকা এবং তাদের চাওয়া-পাওয়ার কথা তুলে ধরতে বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্বে থাকা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়।

সৃষ্টিশীল সৃজনশীলতা, শৈল্পিক মানসিকতা এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ তৈরির পরিবেশ
বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে একাডেমিক কার্যক্রমের বাইরের সময়টায় ক্যাম্পাসের এক কোণে কেউ গিটার বাজায়, কোথাও আবৃত্তি চলে, কোথাও বা তর্কের ঝড় বাংলাদেশ ছাড়িয়ে ঘুরে আসে সারা বিশ্ব, আবার কোন এক নির্জনে নাটকের রিহার্সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণকে প্রাণচঞ্চল করে তোলে কয়েকজন তরুণ। এ যেন বইয়ের পাতার বাইরের এক বিকল্প পাঠশালা যেখানে চর্চিত হয় শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীল সৃজনশীলতা, শৈল্পিক মানসিকতা এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর হস্তক্ষেপ, যেটি জুলাই এর গণ-অভ্যুত্থানের পর এখন অনেকাংশেই প্রশমিত হয়ে গেছে। বলা চলে, এখন এই পরিবর্তিত বাংলাদেশে আমরা সুস্থ সংগঠন চর্চার শ্রেষ্ঠ সময়ে বাস করছি।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ও তার উনিশ পেরিয়ে বিশে পদার্পণ করেছে। পরিণত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ এর জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎকর্ষতার স্বার্থেই এখন প্রশাসনের প্রয়োজন সংগঠনগুলো যাতে তাদের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে চালিয়ে যেতে পারে তার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি তার প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই বিশেষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিটিভি জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন টিভি বিতর্কে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি, জাতীয় ও আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করছে, ছড়িয়ে দিয়েছে দেশের সব জায়গায়।
এর বাইরে, অন্যান্য সংগঠনগুলোও তাদের নিজস্ব জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বয়ে আনছে।

সংগঠনগুলার স্বার্থে তাই, আমাদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি বর্তমান ক্যাম্পাসেই অডিটোরিয়ামের বাস্তবায়ন, আমাদের সংগঠন এর জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষগুলোর উৎকর্ষ সাধন, বাজেট এর বিষয়ে আরো সচেষ্ট হওয়া এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত শিক্ষার্থীদের কাজের স্বীকৃতি প্রদানের চেষ্টা করা উচিত। একইসাথে, শিক্ষার্থীরা যাতে সংগঠন চর্চায় আরও মনোযোগ দিতে পারে, সেজন্য ব্যক্তিগত জায়গা থেকেও শিক্ষকদের প্রয়োজন সদয় মনোভাব ও সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ প্রদর্শন করা।

সাদিয়া আফরিন
সভাপতি, কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি

সাংস্কৃতিক চর্চার পরিসরকে সম্প্রসারিত করতে একটি পূর্ণাঙ্গ অডিটোরিয়াম

বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র নাট্য ‘সংগঠন থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’ ২০১২ সাল থেকে ক্যাম্পাসে নাট্যচর্চার যে ধারা চালিয়ে আসছি, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলকে সমৃদ্ধ করারই এক নিরলস প্রয়াস। নাটক হলো সমাজের দর্পণ । এই এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে আমরা ডজনখানেক নাটক-নাটিকার মঞ্চায়ন করেছি, আয়োজন করেছি একটি আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসব ও দুটি আন্তঃবিভাগীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। এই বছর প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আয়োজিত হয়েছে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী, যার আয়োজনের গর্বও আমাদের।

তবে কাজের গতিকে আরও গতিশীল করতে আমাদের কিছু কাঙ্ক্ষিত চাওয়া রয়েছে। একটি পূর্ণাঙ্গ অডিটোরিয়াম আমাদের সাংস্কৃতিক চর্চার পরিসরকে অনেক বেশি সম্প্রসারিত করতে পারে। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরির আধুনিকায়ন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত উন্নত করা আমাদের সামগ্রিক একাডেমিক পরিবেশের মানোন্নয়নে সহায়ক হবে।

আমরা আশাবাদী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে আরও ত্বরান্বিত গতিতে। সেই যাত্রায় থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় যেমন অতীতে পাশে ছিল, তেমনি ভবিষ্যতেও থাকবে একনিষ্ঠ সঙ্গী হয়ে।

ইমতিয়াজ আহমেদ
সভাপতি, থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুবি হোক আরও পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও বাসযোগ্য

শুধু ভবন আর ক্লাসরুম নয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত পরিপূর্ণতা নির্ভর করে তার প্রাকৃতিক পরিবেশ, সবুজ পরিসর ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ব্যবস্থার ওপর। আর এই জায়গাটিতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় একটি পরিবেশ সচেতন সংগঠন, যা দীর্ঘদিন ধরে কুবির প্রাণ ও প্রকৃতিকে রক্ষার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বৃক্ষরোপণ, ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা অভিযান, প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন এই সংগঠনের নিয়মিত কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম।

প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো শুধু সৌন্দর্যের জন্য কাজ করে না, বরং তারা শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও পরিবেশগত সচেতনতার ভিত্তি তৈরি করে দেয়। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের কাজ শুধু গুরুত্বপূর্ণই নয়, অপরিহার্য।”

এমন কাজের পথচলাও নানা সীমাবদ্ধতায় জর্জরিত। অভয়ারণ্যের কোনো নির্দিষ্ট অফিস রুম নেই, যা সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনায় বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। “আমাদের প্রায় সব কার্যক্রম ক্যাম্পাসের খোলা জায়গায় বা অন্য কারও সহায়তায় করতে হয়। কোনো স্থায়ী জায়গা না থাকায় পরিকল্পনা, উপকরণ সংরক্ষণ কিংবা নিয়মিত বৈঠক করতেও সমস্যা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের এই সময়ে অভয়ারণ্যসহ সব পরিবেশ সচেতন সংগঠনের চাওয়া এই যে, কুবি হোক আরও পরিচ্ছন্ন, সবুজ ও বাসযোগ্য, যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রাকৃতিক ছায়ায় বেড়ে উঠবে, ভাববে, গড়বে এক উদ্ভাবনী আগামী।

তামিম মিয়া
সভাপতি, অভয়ারণ্য

সৃজনশীল কর্মকাণ্ড পরিচালনায় স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের পরিসর বজায় রাখা

প্রতিবর্তন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এর একটি উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক সংগঠন।২০১৩ সাল থেকে নানান সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড আমরা আয়োজন করে আসছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় এর যেকোনো অনুষ্ঠানেও আমরা সার্বিক সহযোগিতা করে থাকি।বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে, আমরা মনে করি সাংস্কৃতিক চর্চা কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বের উৎকর্ষ সাধনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই বিশ্বাস থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশা রাখি।যেমন:আমাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন, বাজেট এবং নীতিগত সহায়তা প্রদান।অনুষ্ঠান আয়োজন ও অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত স্থান, সাউন্ড সিস্টেম, আলো ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত সুবিধা নিশ্চিত করা। সৃজনশীল কর্মকাণ্ড পরিচালনায় স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের পরিসর বজায় রাখা।অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের সঙ্গে যৌথ অনুষ্ঠান আয়োজন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ব্যবস্থা করা।
আমরা বিশ্বাস করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় আমাদের সাংগঠনিক ও সাংস্কৃতিক প্রচেষ্টা আরও সমৃদ্ধ ও প্রভাবশালী হয়ে উঠবে।

উম্মে হাবিবা শান্তা
সভাপতি, প্রতিবর্তন

বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা এবং শিক্ষা উপযোগী সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা

নিজেকে নতুন করে জানার একটা জগৎ এই বিশ্ববিদ্যালয়। এই পথ চলতে গিয়ে কখনো মনে তীব্র আশার সঞ্চার হয় তেমনি কখনো হতাশও হতে হয়। ক্যাম্পাসে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় যে বিষয়টি মনে হয়েছে সেটি হলো এর সামগ্রিক অধ্যয়নের পরিবেশ। সেখানে এখনো শিক্ষার্থীদের আশানুরূপ ও চাহিদা অনুযায়ী সুযোগ সুবিধার ঘাটতি রয়েছে। ভবিষ্যতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি থাকবে সময়োপযোগী অবকাঠামোগত ও শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের আশার প্রতিফলন ঘটাবে।

এখানে আরও আধুনিক গবেষণাগার, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা, আন্তর্জাতিক মানের প্রোগ্রাম চালু হলে এটি দারুন সাড়া ফেলবে। উনিশ বছরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রযাত্রার যে বীজ বপন করেছে, তা একদিন মহীরুহে পরিণত হবে- যদি আমরা সবাই মিলে একে এগিয়ে নিতে পারি।জুলাই চব্বিশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফসল হিসেবে সর্বত্র বৈষম্যহীন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।সকল ক্ষেত্রে যোগ্যতা ও দক্ষতা হোক মাপকাঠি।

বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা এবং শিক্ষা উপযোগী সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘পাটাতন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি, দলীয়করণ, মাদক ও সন্ত্রাসের কু-প্রভাব থেকে বেরিয়ে এসে শুদ্ধ চিন্তা, মূল্যবোধ এবং যুগোপযোগী জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে একটি সুন্দর ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে চাই।

মাসুম বিল্লাহ
সভাপতি, পাটাতন

র‍্যাগিং , গণরুমে, গেস্টরুমমুক্ত ক্যাম্পাস

‎ফ্যাসিবাদী শাসনামলে আমরা দেখেছি ক্যাম্পাসগুলোতে কিভাবে শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং মাধ্যমে, গণরুমে, গেস্টরুমে কিংবা ভিন্নমত পোষণের কারণে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। ক্যাম্পাসের হলগুলোকে টর্চার সেলে পরিণত করা হয়েছিল। ক্যাম্পাসে একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমার প্রত্যাশা থাকবে এ ধরনের অপসংস্কৃতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কখনো চর্চা হবে না, শিক্ষার্থীরা এখানে নির্ভয়ে পড়াশোনা করতে আসবে, তাকে মিছিল মিটিং এর ভয় করতে হবে না, নির্যাতনের ভয় করতে হবে না, তাকে র‍্যাগিং এর ভয় পেতে হবে না, তার জোরপূর্বক কাউকে সম্মান করার বাধ্যবাধকতা থাকবে না এবং সে নিজের বাড়ির মতো নিরাপদ বোধ করে এখানে পড়াশোনা করবে। সর্বোপরি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্টেকহোল্ডারদের অভিনন্দন জানাই এবং আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করি।

নাইমুর রহমান
সভাপতি, সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক

error: ধন্যবাদ আপনাকে!