মুুরাদনগরে স্বামীর জামিনের প্রলোভনে গৃহবধূকে ধর্ষণ ইউপি সদস্যসহ ছয়জনের

এন এ মুরাদ,মুরাদনগর ॥
কুমিল্লার মুরাদনগরে স্বামীকে জামিন পাইয়ে দেয়ার কথা বলে এক গৃহবধূকে ইউপি সদস্যসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ভোলাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলো, উপজেলা সদর ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের মৃত জায়েদ প্রধানের ছেলে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ভোলা (৪০), ছাফর আলী প্রধানের ছেলে মোশারফ হোসেন (৩৫), জসিম মিয়ার ছেলে রিয়াজ মিয়া (২৫), শাহিন শাহ্‘র ছেলে জালাল মিয়া (৩৩), হাশেম মিয়ার ছেলে জীবন মিয়া ও মৃত বেয়ারী মিয়ার ছেলে রেনু মিয়া (৪৫)। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ভোলাকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী নিজ এলাকার ২য় শ্রেণীর দুই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলায় জেলে যায়। স্বামী জেলে যাওয়ার পর শাশুড়ির সাথে থাকতো ওই গৃহবধূ। এক পর্যায়ে কুমিল্লায় বাসা ভাড়া করে চলে যান শাশুড়ি। শাশুড়ি চলে যাওয়ার পর ওই গৃহবধূ স্বামীর জামিনের জন্য ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ভোলার কাছে সহযোগিতা চান। সে রাতে আসার কথা বলে। গত বছরের ২১ নভেম্বর রাতে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ভোলা স্বামীকে জামিনে ছাড়িয়ে দেয়ার নানা প্রলোভন দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ না করতে ভয় দেখায়।
এ ঘটনার ১৪ দিনের মাথায় মামলার ২য় আসামি ভোলার সহযোগী মোশারফ হোসেন ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। তার একদিনের মাথায় ৩য় আসামি, পরদিন ৪র্থ আসামি, তারও একদিনের মাথায় ৫ম আসামি ও ৭দিনের মাথায় ৬ষ্ঠ আসামি ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি মামলার ৫ম আসামি জীবন মিয়া আবারো ওই গৃহবধূকে ধর্ষণকালে জীবন মিয়ার স্ত্রী দেখে ফেলে। পরে জীবনের স্ত্রী ও ওই গৃহবধূ তার শাশুড়ির কাছে সকল ঘটনা বলেন। এসময় ছেলে জেলে থাকায় ধর্ষকদের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেননি শাশুড়ি। গৃহবধূ এখন পাঁচ মাসের অন্ত:স্বত্ত্বা।
মুরাদনগর থানার ওসি একেএম মনজুর আলম বলেন, এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানায় ৬ জনকে আসামি করে সোমবার একটি মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ভোলাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।