এন এ মুরাদ, মুরাদনগর।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর ইউনিয়নের বলীঘর গ্রামের রায়হান সরকার রাফি (২০) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে এলাকায় করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক বিরাজ করছে। বুধবার দুপুরে পাশ্ববর্তী নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়। নিহত রায়হান সরকার রাফি মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার বলিঘর গ্রামের মোঃ মোখলেসুর রহমানের ছেলে। সে শ্রীকাইল সরকারি কলেজ থেকে এবছর এইচ এস সি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি এবং পায়ের সমস্যা নিয়ে বুধবার দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসার জন্য নবীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয় ওই যুবককে। হাসপাতালে ভর্তি করার আগেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎক তাকে দ্রুত ঢাকায় প্রেরনের পরামর্শ দেন। ঢাকার নেয়ার জন্য গাড়িতে তোলার আগেই সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারা যায়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে যুবকের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া মাত্র আমরা ওই বাড়ীসহ আশে-পাশের বাড়ী সমূহ লকডাউন করে রেখেছি। পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানাযায় নিহত রায়হান দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট এজমা জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। তবে ঢাকা থেকে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য বাড়ি লকডাউন করে রাখা হয়েছে। নিহতের নিজ বাড়িতে দাফনের ব্যবস্থা চলছে বলেও জানান তিনি।
নিহতের পিতা মোখলেছুর রহমান জানান, রায়হান দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট জনিত নিউমিনিয়া রোগে অসুস্থ ছিল। বছর খানেক আগেও ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটাল থেকে চিকিৎসা করানো হয় তাকে। গত ৬দিন পূর্বে রায়হান কাজ করতে গিয়ে পা ভেঙ্গে ফেলে। গ্রামের ডাক্তার দ্বারা পায়ের প্লাস্টার করা হয়। কিন্তু পায়ের প্লাস্টারে ইনফেকশন হয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হওয়ায় তাকে নবীনগর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
নবীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মোশরাত ফারখান্দা জেবিন বলেন, যুবকটি করোনায় আক্রান্ত ছিল কি না আমরা এই মুহূর্তে বলতে পারব না। তবে করোনা ভাইরাসের একাদিক উপসর্গ তাঁর মাঝে লক্ষ্য করেছি। বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট ও জ্বর ছিল। তাই তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারন।